রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
বশির আল মামুন, চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ, সিভাসু, চবি ও কমেকে ৮৭৪ নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামের আরও ২২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত ৪৮১৫ জন। শনিবার (১৩ জুন) সকালে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ১৬২ জন ও উপজেলা পর্যায়ে ৬০ জন রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিআইটিআইডিতে ৪৫ জন, সিভাসুতে ১১ জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ১৩৭ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫৮ জন এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার চট্টগ্রামে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৮৭৪ টি। এর মধ্যে ২২৫ টি বিআইটিআইডিতে, ১২৩ টি সিভাসুতে, ৪৪৮ টি চমেকে, ৫৮ টি চবিতে এবং ২০ টি কমেকে নমুনা পরীক্ষা করানো হয়।
উপজেলা পর্যায়ে নতুন শনাক্ত ৬০ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ৩, সাতকানিয়ায় ১, চন্দনাইশে ২ পটিয়ায় ৭, বোয়ালখালীতে ১, রাউজানে ৫, ফটিকছড়িতে ৬, হাটহাজারীতে ২৫ ও সীতাকুÐের ১০ আছেন।
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৮১৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ১০৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩১১ জন।
এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রামে ডা. আরিফ হাসান নামে আরো এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুন) রাত দশটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ডা. আরিফ হাসান ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪৯ তম ব্যাচের ছাত্র। নগরীর কোতোয়ালী থানার আবেদিন কলোনি এলাকায় থাকতেন তিনি। ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতেন ডা. আরিফ।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, তিনি নিয়মিত রোগী দেখতেন। গত সাতদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। করোনার সবগুলো উপসর্গ ছিল। তবে টেস্ট করানো হয়নি। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গিয়েছিল তাঁর। প্রথমে ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে এবং পরে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে আইসিইউ সাপোর্ট দেয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ডা. মুহিদ হাসান। এর আগের দিন ৩ জুন এহসানুল করিম নামে আরও এক চিকিৎসক করোনা পজেটিভ হয়ে মারা যান। এছাড়া ঈদের দিন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক এ এম জাফর হোসাইন রুমি।
ভয়েস/আআ